শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ১৮ মে ২০২৪ ২০ : ২৭Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটির স্থান পরিবর্তন! দল গঠনের পর দক্ষিণ কলকাতাই ছিল শক্ত ঘাঁটি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের এবং ১৯৯৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যে কেন্দ্রে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই কেন্দ্রেই প্রথমে সাংসদ হন সুব্রত বক্সী, পরবর্তীতে মালা রায়। তবে আর দক্ষিণ কলকাতা নয়, বর্তমানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র। গত দশ বছর ধরে যেখানকার সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। শনিবার বিকেলে 'দ্বিতীয় ঘর' ডায়মন্ড হারবারের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেকের দাবি, 'অতীতে তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি ছিল দক্ষিণ কলকাতা। বর্তমানে সারা বাংলায় তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি ডায়মন্ড হারবার। আমার জন্ম দক্ষিণ কলকাতায়। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমার মৃত্যু যেন ডায়মন্ড হারবারে হয়।'' লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অভিষেকের এহেন বার্তা তৃণমূলের অন্দরেই শোরগোল ফেলল।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে অভিষেক আরও বলেন, জয়ের ব্যবধানে গোটা দেশের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারকে এক নম্বরে রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর। অগণিত সমর্থকদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, 'আজ ভোট চাইতে আসিনি। আপনাদের কাছে চার লাখের ব্যবধান চাইতে এসেছি। এটা আমার চাহিদা আপনাদের থেকে। উন্নয়নের নিরিখে রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে, দেশের ৫৪৩ আসনের মধ্যে জয়ের ব্যবধানে ডায়মন্ড হারবার যেন এক নম্বরে থাকে। ডায়মন্ড হারবারে উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া যে ছুটছে, তা যেন অক্ষুন্ন, ত্বরান্বিত থাকে। গত লোকসভায় জয়ের নিরিখে রাজ্যে তিন নম্বরে ছিলাম। এবার যেন এক নম্বরে থাকতে পারি, এটাই আমার চাহিদা।'
পরিসংখ্যান সহ অভিষেক আরও বলেন, 'প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে ৭১ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। সেখানে জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুরের প্রার্থীরা দুই, আড়াই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। সেদিন শপথ নিয়েছিলাম বাংলায় এক নম্বরে নিয়ে যাব ডায়মন্ড হারবারকে। গতবার তিন লক্ষ একুশ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ সকলের কাছে। এবার সেটা চার লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিততে চাই। ডায়মন্ড হারবারে প্রধানমন্ত্রী একশো সভা করলেও, আপনি এবং আপনার সিবিআই চার লক্ষের ব্যবধান কমাতে পারবেন না। আপনার ইডি, সিবিআই আছে। আমার ব্রহ্মাস্ত্র জনতা। কুৎসা করে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করলেও রুখতে পারবে না।'
ভোটের আগে এখনও পর্যন্ত দুই থেকে তিনবার নিজের কেন্দ্রে এসেছেন অভিষেক। এটি তাঁর দ্বিতীয় জনসভা। অভিষেক আরও বলেন, ষষ্ঠ দফার প্রচার শেষ করে ভোটের দশদিন আগে শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবারেই থাকবেন। ভোটের দিন অর্থাৎ পয়লা জুন তিনি আমতলায় থাকবেন। সেখান থেকে নজরদারি চালাবেন।